মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
বৃহত্তর ঈদগাঁওতে রবি-এয়ারটেলে ফোরজি চালু করা হলেও প্রত্যাশা মতে সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। গ্রাহক অনুপাতে টাওয়ার ও ক্যাপাসিটি না থাকায় এ জন ভোগান্তি বলে জানা গেছে। ফোরজিতে জন আকাঙ্খার প্রতিফলন না ঘটায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন নামী-দামী মোবাইল অপারেটর কোম্পানীগুলো ফোরজি (চতুর্থ জেনারেশন) চালু করেছে মাস খানেক পূর্বে। এতদিন ছিল থার্ড জেনারেশন বা থ্রিজি। সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে ফোরজিতে পদার্পন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ। বৃহত্তর ঈদগাঁওতে রবি এবং এয়ারটেলের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানী সম্প্রতি ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতি সম্পন্ন ফোরজি চালু করেছে। অন্য কোন অপারেটর এখনো এ সেবা চালু করতে পারেনি এখানে। ভূক্তভোগীদের মতে ফোরজি সেবা চালু হলেও তা নামে মাত্র। এর গতি থ্রিজি’র চাইতে ১০/১২গুণ কম। অথচ স্পীড হওয়ার কথা ছিল সমগুণের বেশি। কোম্পানীটি সেবাটি চালু করায় অনেকে ফোরজি সাপোর্টেড মোবাইল ও সিম কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। কারণ এ এলাকায় প্রতিনিয়ত ফোরজির ব্যবহার বিঘিœত হচ্ছে। যারা এ সিম প্রতিস্থাপন করেছে তারাও পড়েছেন বিপাকে। বাজারের মাল্টিমিডিয়া মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের পরিচালক নুরুল হুদা জানান, এ এলাকায় ৯০ শতাংশের অধিক গ্রাহক রবি বা এয়ারটেলের। ৫ শতাংশ হচ্ছেন গ্রামীন অপারেটরের। আর বাদ বাকীরা হচ্ছেন টেলিটকসহ অন্যান্য অপারেটরের। তার মতে গ্রামাঞ্চলে এখন রবির তীব্র নেটওয়ার্ক বিপর্যয় চলছে। গ্রাহক অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক টাওয়ার ও সেগুলোর ক্যাপাসিটি বা সক্ষমতা না থাকায় নেটওয়ার্ক কার্যক্রম প্রায় সময় ব্যস্ত থাকে। কলড্রপের কারণে গ্রাহকরা কথা শুনতে বা বুঝতে পারেন না। অথচ সংযোগ ঘটায় তাদের টাকা কেটে যায়। তার মতে টু, থ্রি কিংবা ফোর জি তথা কোন জি-তেই প্রত্যাশিত গতি নেই। তাই গ্রাহকরা চাহিদা মতে সেবা পাচ্ছেন না। যেখানে ৪জি’র গতি ৩জি’র চেয়ে ১০ বা ১২গুণ বেশি হওয়ার কথা, সেখানে ঘটছে ঠিক তার বিপরীত। তিনি বলেন, এখানে সরকারের ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিটিসিএল পরিচালিত টেলিটক অপারেটরের একটি মাত্র টাওয়ার রয়েছে। যা জাগির পাড়ার টিএন্ডটি অফিসের ওপরে স্থাপিত। লোডশেডিংয়ের সাথে সাথে টেলিটকের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে টেলিটক গ্রাহকদের ঘন্টার পর ঘন্টা চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
—————————————–
পোকখালীতে পানি সেচ বাবদ কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ
মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া রাবার সেচ প্রকল্পে অবশেষে কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা দিলে তিনি তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। পানি হাউজের দাম নির্ধারণ করায় এ এলাকার হাজার হাজার বর্গা কৃষক স্কীম ম্যানেজারদের অত্যাচার থেকে রেহাই পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, পোকখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তথা পূর্ব পোকখালীর বর্গা চাষীদের পক্ষে জনৈক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী জেলা প্রশাসক বরাবরে পানি হাউজের টাকা নির্ধারণ কল্পে সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানান। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেনকে পানি হাউজের টাকা কানি প্রতি এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা যায় কিনা তা দেখার নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে উক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন। জানতে চাইলে চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শমতে তিনি কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা ধার্য্য করে এলাকায় মাইকিং করেছেন। তার মতে, আগে প্রতি কানিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য স্কীম ম্যানেজাররা ২ হাজার টাকা করে নিতেন। যাতে কৃষকরা পোষাতে পারছিলেন না। উক্ত রাবারড্যামের আওতায় ২৭জন স্কীম ম্যানেজার ও প্রায় ৬৮ দোন জমি রয়েছে। সে হিসেবে প্রতি স্কীম ম্যানেজার ২ থেকে আড়াই দোনের বেশি জমিতে পানি সেচ দিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে তিনি ২৮শে এপ্রিল সকালে রাবারড্যাম অফিসে স্কীম ম্যানেজারদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তিনি তাদেরকে আওতাধীন জমির চূড়ান্ত তালিকা দিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, রাবারড্যাম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ প্রত্যেক স্কীম ম্যানেজারের কাছ থেকে প্রতি কানির জন্য ১২০ টাকা হারে নেয়া হয়। যা গত বছর থেকে কার্যকর হয়েছে। অন্যান্য রাবারড্যামে ও এভাবে নেয়া হয়। রাবারড্যাম হওয়ার আগে বাঁধ বা গোদার আমলে কানি প্রতি আরো বেশি টাকা খরচ হিসাবে নেয়া হত।
পাঠকের মতামত: